আজকের বিশেষ দুর্গার কারিগর
উত্তরবঙ্গের মৃৎ শিল্পীদের কাছে এবারের দুর্গা পুজোটাই আসছে অন্য রকম ভাবে
কুশল দাশগুপ্ত ও সজল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি , ৪ অক্টবরঃ উত্তরবঙ্গের দুর্গাপুজোর আয়োজন অনেকটা একটু অন্য রকম। আড়ম্বর ও ঐতিহ্য অন্য শহরতলীর দিক থেকে অন্য মাত্রার। কলকাতায় যে রকম পুজোর রমরমা।শিলিগুড়িতেও সেরকম। এবার করোনা আবহে গভীর আর্থিক সঙ্কটে শিলিগুড়ি মৃৎশিল্পীরা। প্রতিবছর গনেশ পূজা থেকে আরম্ভ করে দুর্গা পূজা পর্যন্ত ভালো আয় করার আশায় বুক বাঁধেন শিলিগুড়ি মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন , ভয়াবহ করো না পরিস্থিতির জন্য সবকিছুই কেমন পাল্টে গিয়েছে। এবছর গণেশ পূজা ,বিশ্বকর্মা পুজো তে তেমন বিক্রি হয়নি প্রতিমা, যার ফলে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে মৃৎ শিল্পীরা। সামনে দুর্গা পুজো প্রতিবছর এ সময় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা থাকে , এক মুহুর্ত হাতে সময় থাকে না শিলিগুড়ি মৃৎশিল্পীদের। কিন্তু ভয়াবহ করো না পরিস্থিতির জন্য এবার অনেক বিগ বাজেটের পুজো তাদের বাজেট কম দিয়েছে, এছাড়া বেশকিছু পুজো কমিটি পূজা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একদিকে যেমন প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে অপর দিকে প্রতিমার চাহিদা কমেছে, তাই আগামীতে কতটা লাভবান হবেন মৃৎশিল্পীরা সেটাই দেখার।
শুধুমাত্র পেশাদারিত্ব এর খাতিরে শিলিগুড়ি মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরি করে যাচ্ছে।এবছর করোনার জেরে শিলিগুড়ির কুমোরটুলির সেই চিত্রটাই যেন পাল্টে গিয়েছে।এবছর ছোট করেই হচ্ছে শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলো।অন্যদিকে বেশকিছু পুজো কমিটি এবছর পুজো করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। অন্যদিকে প্রতিমার দাম কমেছে অনেকটাই। বিগত বছরের তুলনায় প্রতিমার চাহিদা নেই। প্রতিমার অর্ডার মিলেছে অনেক কম। স্বাভাবিক ভাবেই দিনভর কাজ করেও তার সুফল পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহে রয়েছে শিল্পীদের। মূলত পেশাদারিত্ব বজায় রাখতেই চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়েও প্রতিমা তৈরি কাজ করে চলেছেন শিলিগুড়ির কুমোরটুলির শিল্পীরা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন