সময়টা কিন্তু শাসক- বিরোধী শিবিরের একজোট হওয়ার
- কাজল ভট্টাচার্য
বিজেপিকে ভোটে জেতাতে তালিবানরা আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছে, জানতেন নাকি? আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমের গবেষণা এমনটাই বলছে। এই আচার্য কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের না। কংগ্রেস গুরুকুলের।
আফগানিস্তানে তালিবানের ফিরে আসার ঘটনার সঙ্গেও বিজেপির যোগ আবিষ্কার করে ফেলেছে বিরোধী শিবির। এমনকি তালিবানের সঙ্গে মোদি সরকারকে একসারিতে দাঁড় করিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেননি বিরোধীরা।
তবে এ নতুন কিছু না। পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস সমেত অন্যান্য কিছু পদ্মবিরোধী শিবির। একইভাবে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল চীন- ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়েও।
তবে এবার বিপদ আরও ভয়ঙ্কর। এক অদৃশ্য ব্যূহে ক্রমেই ঘিরে ফেলা হচ্ছে আসমুদ্র হিমাচল ভারতবর্ষকে। ঘটনার আঁচ দেশের ধুরন্ধর রাজনীতিকরা পাচ্ছেন না, এমনটা ভাবার কোনও যুক্তি নেই। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে উঠছে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি।
জন্মলগ্নের পরমুহূর্ত থেকেই ভারতের ঘাড়ের ওপর শ্বাস ফেলে চলেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে বন্দুক তাক করে আছে চীন। সীমান্ত অস্থিরতা থামার কোনও লক্ষণ নেই। এবার সেই পরিস্থিতিতেই ভারতের অদূরেই আফগানিস্তানে কায়েম হতে চলেছে তালিবানি রাজ। শুধু তাই না, এই রাজ তৈরির মূল কারিগর পাকিস্তান। নেপথ্যে প্রচ্ছন্ন মদত চীনের। আগামীতে আফগানিস্তানের কাঁধে বন্দুক রেখে চিন, পাকিস্তান হাত মিলিয়ে ভারতকে নিশানা করলেও চমকানোর কোনও কারণ থাকবে না।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান খোদ স্টিভ শ্যাবোট খোলাখুলিই জানিয়েছেন, পাকিস্তান আর তার গোয়েন্দা দপ্তরের মদতেই তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে। ওই ঘটনার পরে ইসলামাবাদ কর্তাদের নাচানাচির দৃশ্য দেখা বিরক্তিকর।
আবার এই ইসলামাবাদ কর্তাদের টিকি বাঁধা চীনের কাছে। জঙ্গি তৈরিতে পাকিস্তানের জমির উর্বরতা যে ঠিক কতখানি, তা ভারতের থেকে ভালো অন্য কোনও দেশের জানার কথা নয়। সেই জঙ্গিরাই আবারও আফগানিস্তানের দখল নিলো। একই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে। পাক- ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ আজ আর কোনও নতুন কথা নয়।
ওদিকে চীন- ভারত সীমান্তের অস্থিরতাও থেকেথেকেই কপালের ভাঁজ চওড়া করে দিল্লির। এবার চীন পাকিস্তানের দৌলতে আফগানিস্তানে যে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হলো, তা আগামিদিনে যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে ভারতের। যে কোনও অজুহাতেই তাপ বাড়তে পারে ভারত আফগানিস্তান সম্পর্কেও। সবমিলিয়ে ছবিটা এমন দাঁড়াচ্ছে, ভারত ক্রমেই যেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ঘেরাটোপে বন্দি হতে চলেছে। বর্তমান রাজনৈতিক ভূগোলের ইঙ্গিতটা কিন্তু সেরকমই।
তালিবান জঙ্গিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির নগ্নরূপ দেখতে পাচ্ছেন ভারতের পোড় খাওয়া বিচক্ষণ রাজনীতিবিদরাও। চীন পাকিস্তানের হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানে তালিবানের 'পাপেট' সরকারকে ক্ষমতায় আনা। অন্যদিকে রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেনের ভূমিকাও নিরাশাজনক। তারা কেউই তালিবান জঙ্গিপনার বিরোধিতায় মুখ খোলেনি। উল্টে আকার ইঙ্গিতে তারা যেন তালিবানদের 'ওয়াক ওভার' দিয়ে বসেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোজাসাপটা কথায় জানিয়ে দিয়েছেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে আমাদের কারও মতামত চাপিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না। সুর নরম ব্রিটেনেরও। এমনকি প্রয়োজনে আফগানিস্তানের স্বঘোষিত তালিবান শাসকদের সঙ্গে কাজ কারবার করতেও রাজি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সমস্যার সমাধানে তিনি কূটনীতির ওপর জোর দিয়েছেন।
এতকিছুর পরেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তালিবানদের সাবধান করে দিতে বলেছেন, আফগানিস্তানে বসবসকারী একজন মার্কিন নাগরিকের গায়ে হাত পড়লেও তার ফল হবে মারাত্মক। বাইডেনের ওই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে সুর চড়িয়েছে তালিবান। তাদের সাফ কথা, ৩১ অগাস্টের মধ্যে মার্কিনিদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় যে পাত্তা না দিলেও চলবে, তার হাতেনাতে প্রমাণ দিয়েছে খলিল হক্কানি। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় কাবুলের রাস্তায় বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হক্কানি, আমেরিকার 'মোস্ট ওয়ান্টেড'।
এসবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে ইসলামাবাদ। আফগানিস্তানের স্বঘোষিত তালিবান শাসকদের প্রথম আমন্ত্রিত দেশ পাকিস্তান। রবিবারই তালিবান কর্তাদের আমন্ত্রণে কাবুল পৌঁছে গেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি।
মোটের ওপর পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভারতকে তার সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে তার নিজের মতো করেই।
আফগানিস্তানে তালিবানের ফিরে আসার ঘটনার সঙ্গেও বিজেপির যোগ আবিষ্কার করে ফেলেছে বিরোধী শিবির। এমনকি তালিবানের সঙ্গে মোদি সরকারকে একসারিতে দাঁড় করিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেননি বিরোধীরা।
তবে এ নতুন কিছু না। পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস সমেত অন্যান্য কিছু পদ্মবিরোধী শিবির। একইভাবে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল চীন- ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়েও।
তবে এবার বিপদ আরও ভয়ঙ্কর। এক অদৃশ্য ব্যূহে ক্রমেই ঘিরে ফেলা হচ্ছে আসমুদ্র হিমাচল ভারতবর্ষকে। ঘটনার আঁচ দেশের ধুরন্ধর রাজনীতিকরা পাচ্ছেন না, এমনটা ভাবার কোনও যুক্তি নেই। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে উঠছে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি।
জন্মলগ্নের পরমুহূর্ত থেকেই ভারতের ঘাড়ের ওপর শ্বাস ফেলে চলেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে বন্দুক তাক করে আছে চীন। সীমান্ত অস্থিরতা থামার কোনও লক্ষণ নেই। এবার সেই পরিস্থিতিতেই ভারতের অদূরেই আফগানিস্তানে কায়েম হতে চলেছে তালিবানি রাজ। শুধু তাই না, এই রাজ তৈরির মূল কারিগর পাকিস্তান। নেপথ্যে প্রচ্ছন্ন মদত চীনের। আগামীতে আফগানিস্তানের কাঁধে বন্দুক রেখে চিন, পাকিস্তান হাত মিলিয়ে ভারতকে নিশানা করলেও চমকানোর কোনও কারণ থাকবে না।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান খোদ স্টিভ শ্যাবোট খোলাখুলিই জানিয়েছেন, পাকিস্তান আর তার গোয়েন্দা দপ্তরের মদতেই তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে। ওই ঘটনার পরে ইসলামাবাদ কর্তাদের নাচানাচির দৃশ্য দেখা বিরক্তিকর।
আবার এই ইসলামাবাদ কর্তাদের টিকি বাঁধা চীনের কাছে। জঙ্গি তৈরিতে পাকিস্তানের জমির উর্বরতা যে ঠিক কতখানি, তা ভারতের থেকে ভালো অন্য কোনও দেশের জানার কথা নয়। সেই জঙ্গিরাই আবারও আফগানিস্তানের দখল নিলো। একই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে। পাক- ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ আজ আর কোনও নতুন কথা নয়।
ওদিকে চীন- ভারত সীমান্তের অস্থিরতাও থেকেথেকেই কপালের ভাঁজ চওড়া করে দিল্লির। এবার চীন পাকিস্তানের দৌলতে আফগানিস্তানে যে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হলো, তা আগামিদিনে যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে ভারতের। যে কোনও অজুহাতেই তাপ বাড়তে পারে ভারত আফগানিস্তান সম্পর্কেও। সবমিলিয়ে ছবিটা এমন দাঁড়াচ্ছে, ভারত ক্রমেই যেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ঘেরাটোপে বন্দি হতে চলেছে। বর্তমান রাজনৈতিক ভূগোলের ইঙ্গিতটা কিন্তু সেরকমই।
তালিবান জঙ্গিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির নগ্নরূপ দেখতে পাচ্ছেন ভারতের পোড় খাওয়া বিচক্ষণ রাজনীতিবিদরাও। চীন পাকিস্তানের হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানে তালিবানের 'পাপেট' সরকারকে ক্ষমতায় আনা। অন্যদিকে রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেনের ভূমিকাও নিরাশাজনক। তারা কেউই তালিবান জঙ্গিপনার বিরোধিতায় মুখ খোলেনি। উল্টে আকার ইঙ্গিতে তারা যেন তালিবানদের 'ওয়াক ওভার' দিয়ে বসেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোজাসাপটা কথায় জানিয়ে দিয়েছেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে আমাদের কারও মতামত চাপিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না। সুর নরম ব্রিটেনেরও। এমনকি প্রয়োজনে আফগানিস্তানের স্বঘোষিত তালিবান শাসকদের সঙ্গে কাজ কারবার করতেও রাজি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সমস্যার সমাধানে তিনি কূটনীতির ওপর জোর দিয়েছেন।
এতকিছুর পরেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তালিবানদের সাবধান করে দিতে বলেছেন, আফগানিস্তানে বসবসকারী একজন মার্কিন নাগরিকের গায়ে হাত পড়লেও তার ফল হবে মারাত্মক। বাইডেনের ওই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে সুর চড়িয়েছে তালিবান। তাদের সাফ কথা, ৩১ অগাস্টের মধ্যে মার্কিনিদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় যে পাত্তা না দিলেও চলবে, তার হাতেনাতে প্রমাণ দিয়েছে খলিল হক্কানি। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় কাবুলের রাস্তায় বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হক্কানি, আমেরিকার 'মোস্ট ওয়ান্টেড'।
এসবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে ইসলামাবাদ। আফগানিস্তানের স্বঘোষিত তালিবান শাসকদের প্রথম আমন্ত্রিত দেশ পাকিস্তান। রবিবারই তালিবান কর্তাদের আমন্ত্রণে কাবুল পৌঁছে গেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি।
মোটের ওপর পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভারতকে তার সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে তার নিজের মতো করেই।
এহেন অবস্থাতেও ভোট রাজনীতির আবর্ত থেকে বেরিয়ে কিছুতেই একজোট হতে পারছে না দেশের যাবতীয় রাজনৈতিক শিবির। উল্টে রাজনৈতিক অস্থিরতার ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে অনেকেই। তারই প্রতিফলন দেখা গেল কংগ্রেসের এক প্রবক্তার কথায়। আফগানিস্তানে তালিবানি হামলার পেছনে তিনি বিজেপির ছায়া আবিষ্কার করে ফেলছেন।
'দারুণ টাইমিং!' বলছেন কংগ্রেসের প্রবক্তা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম। এক নিউজ চ্যানেলের টক শোতে তাঁর খোলাখুলি মন্তব্য, আফগানিস্তানের অস্থিরতা চলবে ২০২২ সাল পর্যন্ত। কারণ আগামী বছরেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন। যোগীরাজের লিটমাস টেস্ট।
এখানেই শেষ নয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে একসারিতে জঙ্গী তালিবানদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সম্বলের সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ সাংসদ সফিকুর রহমান বরক। তাঁর মত, ভারত যেমন ব্রিটিশরাজ থেকে মুক্তি পাবার জন্য লড়াই চালিয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই তালিবানরা লড়াই চালিয়েছে আমেরিকার কবজা থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করার জন্য।
আফগানিস্তানে মহিলা, শিশুদের দুরবস্থা নিয়ে মুখ খোলায় মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এআইএমআইএম চিফ অসদউদ্দিন ওয়েসি। তাঁর বক্তব্য, ভারতে নারী নির্যাতন নিয়ে মাথাব্যথা নেই সরকারের। সরকারের মাথাব্যথা আফগানিস্তানে নারী নির্যাতন নিয়ে। একইসঙ্গে তাঁর পরামর্শ, তালিবানদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করুক মোদি সরকার।
এই সুযোগে ফের ফুঁসে উঠেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিন, মোদি সরকারকে হুমকি মুফতির। তিনি বলেছেন, 'বন্দুকের নল উঁচিয়ে বেশিদিন দমিয়ে রাখা যায় না। আফগানিস্তানে আমেরিকাও পারেনি।' তাই আর একটুও দেরি নয়। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে মুফতি এখনই আলোচনার টেবিলে বসার ডাক দিয়েছেন মোদি সরকারকে।
ঘরের অবস্থাটা যখন এমন, ভারতের বাইরের ছবিটাও কিন্তু মোটেই দেশের অনুকূলে নয়। আফগানিস্তান নিয়ে যে এক ব্যাপক কূটনৈতিক খেলা চলেছে তা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজও সেনা প্রত্যাহারকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে দাবি করে চলেছেন। ওদিকে সামরিক বিশেষজ্ঞদের মত, যুদ্ধে সেনা পরিচালনার মতো যুদ্ধ শেষে সেনা প্রত্যাহারও এক ছকে কষা প্রক্রিয়া। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে সেই ছক মানা হয়নি। সবকিছু দেখে সন্দেহের ভাঁজ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তাদের মত, বাইডেনের ওই সিদ্ধান্ত কৌশলগত ছিলো না, ছিলো রাজনৈতিক।
এই বিস্ফোরক পরিস্থিতির কথা জেনেও বিরোধীরা বারেবারে দাবি তুলছেন, তালিবানদের নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক মোদি সরকার। কিন্তু বাস্তবে কি তা আদৌ সম্ভব? কারণ ভারত সরকারের একটি মন্তব্য বিপদ ডেকে আনতে পারে আফগানিস্তানে বসবাসকারী ভারতবাসীর। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ সম্পূর্ণ না হয়, ততক্ষণ চুপ থাকাই শ্রেয়।
এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়েও সরাসরি তালিবানের নাম না নিয়ে গুজরাতের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আতঙ্কের শক্তিতে তৈরি করা সাম্রাজ্য বেশিদিন টেকে না।' মোদির ওই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধীরা। তবে বিরোধী শিবিরকে সন্তুষ্ট করার চেয়েও এমুহূর্তে জরুরি, আফগানিস্তান থেকে প্রতিটি ভারতবাসীকে অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনা।
শুধু ভারত না, আফগানিস্তান থেকে দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ব্যস্ততা চলছে আমেরিকা সমেত অন্যান্য দেশগুলিতেও। কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল অবস্থার ফায়দা তুলে হামলা চালাতে পারে আইএসআইএস জঙ্গিরা, হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
এই অবস্থার মধ্যেই ধাপেধাপে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর কাজ চলছে। সেই সঙ্গে কাজ চলছে বিরোধী শিবিরের ছক কষার। মোদি সরকারকে চাপে ফেলার এই ছকে চাপা পড়ে যাচ্ছে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার সার্বিক স্বার্থটাও। শাসকদলের মতোই যে স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব নির্বাচিত বিরোধীদের ঘাড়েও। রাজনৈতিক টানাপোড়েন শিকেয় তুলে, আফগানিস্তানের তালিবান রাজ নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসুক শাসক, বিরোধী উভয় শিবির।
ছবি সৌজন্যঃ সংবাদ মাধ্যম এ পি
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন