গোটা সেপ্টেম্বর জুড়ে উত্তরবঙ্গে আন্দোলন বিজেপি'র

 

 উত্তরবঙ্গে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে আন্দোলনের ডাক বিজেপির 


নিজস্ব সংবাদদাতা , শিলিগুড়ি , ২৪ অগাস্টঃ শিলিগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল বিজেপি। মুখে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরলেও বাস্তবে কিছুই করেনি প্রশাসকেরা। স্রেফ পুরসভার বিল্ডিং সংস্কার ও নতুন গেট তৈরী ছাড়া কিছুই হয়নি। নতুন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর আমলের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। আজ এই দাবি তুলেছেন বিজেপির শিলিগুড়ি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই সঙ্গে অন্যায়ভাবে প্রাক্তন কাউন্সিলর বা কো-অর্ডিনেটরদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, যাঁরা পুরসভার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তাঁদেরকে প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা আজ বঞ্চিত। যা আইন বিরুদ্ধ।

অন্যদিকে, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, সংযোজিত ১৪টি ওয়ার্ডে কোনও কাজই হচ্ছে না। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই আলাদা হওয়ার দাবি তুলেছেন। ১৪টি ওয়ার্ড সহ ডাবগ্রাম এবং ফুলবাড়ি নিয়ে পৃথক পুরসভা গঠনের দাবি তুলেছেন তিনি। তাহলেই এলাকার প্রকৃত উন্নয়ন হবে বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে পালটা বিজেপি বিধায়কদের আক্রমণ করেছেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অলোক চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, একসময়ে শিখাদেবীই এই ১৪টি ওয়ার্ডকে শিলিগুড়ি পুরসভার সঙ্গে জুড়তে গলা মিলিয়েছিলেন। আজ ভাঙতে চাইছেন কেন?

 একদিকে পৃথক রাজ্য, পাহাড়কে আলাদা করতে চাইছে বিজেপি। সংযোজিত ওয়ার্ডে প্রচুর কাজ হয়েছে। যদি উন্নয়নই করতে চান তাহলে বিজেপি সাংসদ, বিধায়কেতা আসুন হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুন। আর শিলিগুড়ির বিধায়ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে তো উনিই পুরসভার ক্ষমতায় ছিলেন। ওই সময় কেন কোনও কাজ হয়নি। তার জবাব দিতে হবে আগে। সবে চার মাস হল প্রশাসক মণ্ডলীর। উন্নয়ন নিয়ে মানুষই জবাব দেবে। সমালোচনা বা বিরোধীতা করলে তা যেন গঠনমূলক হয়। বিরোধীতার জন্যে বিরোধীতা করলে হবে না। আর আন্দোলন যে কেউ করতে পারে।

মন্তব্যসমূহ