প্রতিপদেই শুরু জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির পুজো

 

নবরাত্রি পুজোর শুরু দিয়েই ৫১২ বছরের  দুর্গা আরাধনা শুরু জলপাইগুড়ির  বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ীতে


কুশল দাশগুপ্ত , জলপাইগুড়ি , ১০ অক্টোবরঃ  
বৈকুন্ঠপুর রাজ এস্টেট, যা জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি নামেই বেশি পরিচিত। শিশু সিংহ নামে এক যোদ্ধা এই রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৫০৯ সালে রাজা শিশু সিংহের হাত ধরেই রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রচলন। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবেই এই পুজো হয়ে আসছে, যদিও সেই আড়ম্বর এখন আর নেই।

এই রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই প্রবাসী। শুধুমাত্র পুজোর সময় এখানে তাঁরা আসেন। আড়ম্বর না থাকলেও পুজোর ঐতিহ্য কিন্তু আজও বর্তমান। শতাব্দীপ্রাচীন রীতি মেনেই এখনও মা দুর্গতিনাশিনীর পুজো হয় এখানে।মায়ের প্রতিমা তপ্ত-কাঞ্চন বর্ণের এবং সালংকারা। হাতে কানে থাকবে সোনারুপোর গহনা। গলায় থাকবে নবরত্নের হার। পরনে বেনারসী। প্রতিমার উচ্চতা ১৫ ফুট। সিংহের পাশাপাশি মায়ের বাহন বাঘও। একচালা রথের ওপর থাকে পুরো ‘দুর্গা পরিবার’। স্বামী মহেশ্বরের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে ব্রহ্মা আর বিষ্ণু। চারপাশে উপবিষ্ট কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী। মায়ের পাশে স্থান পেয়েছে দেবাদিদেবের চেলা নন্দীর স্ত্রী জয়া ও তার সখী বিজয়া।এখানে পুজো হয় কালিকা পুরাণ মতে। মহালয়ার দিন রাজপরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে হয় তর্পণ ও মায়ের চক্ষুদান। হয় কালীপুজোও। সপ্তমীতে রাত ১২টায় হয় ‘অর্ধরাত্রি পুজো’। এই পুজোয় এক সময় নরবলির প্রথা ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। তবে নিয়ম রক্ষা করতে চালের  গুঁড়ো দিয়ে তৈরি পুতুল ও ৮টি পায়রা বলি দেওয়া হয় অর্ধরাত্রি পুজোয়। অষ্টমীতে হয় কুমারীপুজো,  দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। নবমীতে সকলের মঙ্গল কামনায় হয় যজ্ঞ । 
নবরাত্রি পুজো শুরু হল বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ীতে । জলপাইগুড়ি বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ীর প্রাচীন নিয়ম মেনে নবরাত্রির ঘট বসে গেল রাজবাড়ির নাট মন্দিরে । প্রতিপদ   থেকে জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ীতে শুরু হয়ে যায় নবরাত্রি পুজো । এবার ৫১২ বছরে পা দিল রাজবাড়ীর নবরাত্রি পুজো । নাট মন্দিরে থাকা অষ্ট ধাতুর নিত্য পূজিতা দেবী দুর্গার মূর্তির সামনে বসে প্রতিপদের ঘট। শুরু হয়ে যায় নবরাত্রির পুজো পাঠ।
তথ্য সৌজন্যঃ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম 

মন্তব্যসমূহ