ময়নাগুড়িতে আর এক শারদ উৎসব , মা ভান্ডানির আরাধনা , পুজো হলেও করোনার কারণে হচ্ছে না মেলা
সজল দাশগুপ্ত , ময়নাগুড়ি, ১৬ অক্টোবর: করোনা পরিস্থিতির কারণে পুজো করার অনুমতি থাকলেও হাই কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে পুজো করছেন রাজ্যের পুজো কমিটি গুলি । দেবী দুর্গার পূজা শেষ হতেই , দেবী দুর্গার আরেক রূপ মা ভান্ডানি । একাদশী তিথিতে পূজিত হন দেবী ভান্ডানি। ইনি হলেন রাজবংশী সমাজের শস্য রক্ষার দেবী ভান্ডানি। দশমির পরেরদিন একাদশী তিথিতে এই দেবী আরাধনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্য শারদ উৎসব। শনিবার ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশের দক্ষিন উল্লাডাবড়ি এলাকায় চলছে ঐতিহ্যবাহী ভান্ডানি পুজো। প্রতি বছর দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন এখানে। তবে চলতি বছর কোভিড পরিস্থিতির জন্য পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। নিয়ম মেনে পুজো হচ্ছে ঠিকই কিন্তূ স্বাস্থ্য বিধির কথা মাথায় রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মেলা। পূন্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। আগের বছর গুলির মত ভিড় না হলেও এদিন সকাল থেকে কিছু কিছু পুন্যার্থীকে ভান্ডানিতে আসতে দেখা গিয়েছে, হয়েছে পায়রা এবং পাঠা বলি। করোনার কারণে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে মেলা বন্ধ করলেও পুণ্যার্থীদের জন্য খোলা রয়েছে মন্দির। তবে মন্দির চত্বরে প্রবেশের সময় মাস্ক এবং স্যানিটাইজার এর ব্যবহার আবশ্যক। শনিবার সকাল থেকেই পুজো দিতে আসেন দূর দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা। প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে এদিন পুণ্যার্থীদের পুজো দিতে দেখা যায়। ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ভান্ডানি পুজোকে সকলে বড়ো ভান্ডানি নামেই জানেন। এখানকার দেবী অনেক জাগ্রত বলেও দাবি করেন পুণ্যার্থীরা। আর তাই তো ৫০০ বছরেরও অধিক প্রাচীন এই পুজোয় এই রাজ্য সহ নেপাল, ভুটান এমনকি আসাম থেকেও পূর্নার্থীরা আসেন। ক্লাবের সহ সভাপতি দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন, " আমাদের এই পুজো প্রায় ৫০০ বছরেরও পুরোনো। প্রতিবছর জাকজমক করে পুজো করা হয়। কিন্তূ করোনা বিধি মেনে এবার আমরা মেলা বন্ধ রেখেছি। পূর্নার্থীরা আসবেন মাস্ক পরে। আমাদের এই দেবী অনেক জাগ্রত । তাই ভক্তরা তাদের মনস্কামনা পূরণ হলে তারা মায়ের উদ্দেশ্যে তারা পায়রা, হাঁস সহ পাঠা উৎসর্গ করেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন