উত্তরবঙ্গের দিন প্রতিদিন

 এই মুহূর্তের খবর ঝলকঃ

উত্তরবঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাকে বিদায় 



কুশল দাশগুপ্ত , শিলিগুড়ি, ২৬ অক্টোবরঃ আবার একটি বছরের অপেক্ষা। আগামী বছর যেন মা তোমায় ভালোভাবে আরাধনা করতে পারি , এই প্রার্থনা জানিয়ে , আজ মাকে বিদায়ের পালা। করোনা আবহে শিলিগুড়িতে পালিত হল বিজয়া দশমী।নানান নিয়মের মধ্যে দিয়ে বিসর্জন হল প্রতিমার।আগের থেকেই কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে।যে কোন প্রকারের জমায়েত করা যাবে না।  সেকারণে আজ সকাল থেকেই ভীড় ছিলো লালমোহন মৌলিক ঘাটে। একটার পর একটা শোভাযাত্রা আসলেও সেখানে লোকসংখ্যা ছিলো একেবারেই কম।  মাইকে বারবার বলা হচ্ছিলো কোনরকমের জমায়েত না করে নিয়ম পালন করতে।  পুলিশের পক্ষ থেকেও নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিলো যাতে জমায়েত না হয়।  এদিন সকালে পারিবারিক পূজোগুলির বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয় শিলিগুড়ির লালমোহন মৌলিক ঘাটেই হয় অধিকাংশ নিরঞ্জন এমনিতেই হিলকার্ড রোড এলাকায় বসতে দেওয়া হয় নি কোন খাবারের দোকান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।  যাতে কোনভাবেই সংক্রমন না ছড়িয়ে পড়ে।সেকারণে এবারে পূজোতেও মন্ডপের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় নি অনেককেই। তাই প্রতিমা বিসর্জনেও ছিলো একই ছায়া।



 প্রসঙ্গতঃ  শিলিগুড়িতে করোনা আবহে পুরোপুরি পালিত হল দূর্গাপূজো।করোনা আবহে এবারের পূজো যেন অনেকটাই মৃয়মান ।শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকাজুড়ে একেবারেই ছিলো না দর্শনার্থী।শিলিগুড়ির বিভিন্ন বড় বড় পূজো মন্ডপগুলিতে এবারে একেবারেই লোকজন কম ছিলো।শিলিগুড়িতে এবারে বেশীরভাগ দূর্গা প্রতিমা  হয়েছে একচালার।কোন পূজোর আয়োজকেরাই বড় বড় মন্ডপ করতে সাহস করেন নি।তার উপরে ছিলবৃষ্টি । তাই বাইরে লোকজন একেবারেই বের হন নি।যেহেতু প্রশাসনের কড়া নির্দেশ ছিলো জমায়েত করা যাবে না,সেকারণেই এবারে পূজো মন্ডপগুলিতে একেবারেই ভীড় ছিলো না বললেই চলে।শিলিগুড়ির বেশীরভাগ মন্ডপগুলিতে এবার প্রসাদ বিতরনী অনুষ্ঠানও হয়েছে অনেক সাবধানে।নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই প্রসাদ বিতরন করা হয়।সবমিলিয়ে যে আশঙ্কা ছিলো পূজোকে ঘিরে , সেটা কাটিয়ে পূজো হয়েছে ,এটাই অনেক ভাবছেন শিলিগুড়ির মানুষ। এর জন্য প্রশাসনের বাহবা সাধারণ মানুষকেই। 

মন্তব্যসমূহ