রবিবাসরীয় সাহিত্যের দিন প্রতিদিন

 আমাদের নিয়মিত সাহিত্য সাধনার দিন প্রতিদিন  




আধুনিক বাংলা সাহিত্যের নবীন লেখক সন্দীপ চক্রবর্তী । সন্দীপ লেখেন, নিজের অনুভুতি দিয়ে। সেখানে পাওয়া যাবে নিজেকে খুঁজে। বর্তমানে সন্দীপ একটি সাপ্তাহিকপত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগের অন্যতম । আজ তাঁর ধারাবাহিক থেকে একটু চোখ ফিরিয়ে আবার স্বাদ নিই  ধারাবাহিক উপন্যাসের।এবার থেকে  প্রতি রবিবার প্রকাশিত হবে এক একটি পর্ব। কারণ কিছুই নয় সন্দীপের উপন্যাসের এক একটি অধ্যায় মানে এক একটি গল্প। তাই রবিবাসরীয় একটা সাহিত্যের আড্ডা ভরানো থাক সন্দীপের উপন্যাসে।   


              ঝুলবারান্দার নীচে#৩১




   সন্দীপ চক্রবর্তী 
গ্রাম থেকে শহরে ফেরার পর বুকের ভেতর অনেকখানি আকাশ থেকে যায়। হঠাৎ মনে পড়ে যায় গৃহস্থের উঠোনে যাওয়ার রাস্তার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ঝাঁকড়া জামগাছটার কথা। বাড়ির কেউ এসে বলে, এ গাছের জাম ভারী মিষ্টি। চিনিও হার মানে। হয়তো তাই। আনাচকানাচ থেকে ভেসে আসে হাসির শব্দ। কিংবা দেউলিহাটের বাজারে ঘুপচি দোকানে বসা অনাদি স্যাকরার হাতে তৈরি চুড়ির আওয়াজ। চোখ ফেরালে দেখা হয়ে যায় তার সঙ্গে। সে পাখি বড়ো একাগ্র। তন্ময়। নাম তার মাছরাঙা। পুকুরের ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়া গাছের ডালে বসে আছে চুপ করে। নজর একাবোকা কোনও মাছের দিকে। একটু অসাবধান হলেই ছোঁ মেরে হাওয়া হয়ে যাবে।
এসব ছবি মৌরিপুরের। ফিরেছি দু'দিন হয়ে গেল কিন্তু এখনও নিজেকে সরাতে পারিনি। পাড়ে বাঁধা নৌকো যেমন জোয়ারের সময় ঢেউয়ের আঘাতে একাই দোলে, আমিও ঠিক তেমনই নানা মুখের ঢেউয়ে একাই দুলছি। মুখ তো বড়ো কম না। রসিক, নরুন, খুকুমণি, কানামাছি, সুবল। এদের কি ভোলা যায়?
এবার মোহরকেও নতুন করে চিনলাম। এই মোহর পাথর নয়, প্রতিমাও নয়--রক্তমাংসের মানুষ। কল্পনাও করতে পারিনি আসার সময় ও আমায় এগিয়ে দেবে। চৌকাঠে এসে দাঁড়াবে। সব থেকে বড়ো কথা, আমার নাগাল পাওয়া নিয়ে ওর যে ভয়, সেই ভয়কে নিজেই এমন করে মিথ্যে করে দেবে।
আগে থেকেই ঠিক ছিল সাড়ে বারোটার গাড়িতে ফিরব। স্টেশন খুব দূরে নয়। রিকশা এল সাড়ে এগারোটায়। বসন্তবাবু তখন রিকশাওয়ালার সঙ্গে কথা বলছেন। মোহর বলল, এরপর যখন আসবেন তখন নিয়ে আসবেন।
কী নিয়ে আসব মোহর!
ওই যে বললেন, তরল আলতা।
ঠাট্টা করে বললাম, আর রং যদি পাকা হয়ে যায়?
মোহর উদাসীন ভঙ্গীতে বলল, হবে না। নাগাল পেলে যদি লাগাম পরাই, সেই ভয়ে আপনি কোনওদিন পাকা হতে দেবেন না। আমি জানি। তা নাই বা দিলেন। কাঁচা রংও তো রং। বাইরে থেকে উঠে যায় ঠিকই, কিন্তু ভেতরে থেকে যায়। আমিও আপনাকে ভেতরেই রাখব, বাইরে আনব না।
কিছু বলতে পারিনি। অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম ওর দিকে। বসন্তবাবু তাড়া দিচ্ছিলেন। ছেড়ে যেতে মন না চাইলে মানুষ যা বলে, আমিও তাই বললাম, আজ তা হলে আসি মোহর?
আসুন। পুজোর সময় আসবেন তো?
যদি অন্য কোথাও চলে না যাই তা হলে নিশ্চয়ই আসব।
পথ যেমন বাইরে ডেকে নিয়ে যায় তেমনি ফিরিয়েও আনে। কিন্তু আমি চট করে ফিরতে পারি না। আমার দৈনন্দিন কাজের ভিড়েও মনের মধ্যে পথের সুরটি জেগে থাকে। মন ছুটে যায় ঝিঁঝি ডাকা সন্ধ্যাটির কাছে। কিংবা জোনাকির আলোআঁধারিতে ডুবে থাকা বনতুলসীর ঝোপটির কাছে। কিন্তু এখন আর কোথাও যাওয়া নয়। যে সমস্যায় পড়েছি তার সমাধান না-করা ইস্তক আমার শান্তি নেই।
যাত্রাপালার কুশিলবদের নিয়ে উপন্যাস লেখার ইচ্ছে আমার অনেকদিনের। কিন্তু লেখার আগে তাদের জানা দরকার। আমি যদি নিজেই তাদের না চিনি তা হলে চেনাব কীকরে! এই কথাটাই কাল ভাবছিলাম। রবিবার। তায় সারাদিন বৃষ্টি। আড্ডা-টাড্ডা দিতে যাব তারও উপায় নেই। ভাবতে ভাবতে হঠাৎই মনে পড়ল রজতের কথা। রজত বসাক। সে আমার বন্ধু লোক, তবে সেটা তার বড়ো পরিচয় নয়। তার আসল পরিচয় সে একটা যাত্রাদলের মালিক। দলের নাম যাত্রিক নাট্য সমাজ। ঠিকানা চিৎপুর। রজতের কথা মনে পড়া মাত্র ওকে ফোন করলাম। সব শুনে ও বলল, এ আর বেশি কথা কী! কাল সন্ধ্যেবেলায় যদি ফ্রি থাকিস তো চলে আয়। এখন নতুন পালার মহলা চলছে। অনেকেই থাকবে।
সুতরাং আজ সন্ধ্যেবেলায় আমি যাত্রিকের অফিসে যাচ্ছি। তবে তার আগে রজত সম্বন্ধে দু'এক কথা বলা যেতে পারে। রজতের সঙ্গে আমার পরিচয় কলেজে পড়ার সময়। তখন যাত্রিকের কাজকর্ম দেখতেন ওর বাবা আনন্দবাবু। রজত পড়াশোনা করত আর অসম্ভব ভালো সরোদ বাজাত। চাঁদনি রাতে ওর বিলাসখানি টোড়ি বা গৌড়সারং যারা শুনেছে তারা আজও সেই মনকেমন করা অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেনি। অল্পবয়েস থেকেই রজত মেজাজি-মজলিশি মানুষ। মদ্যপানে কোনওদিন ওর অনীহা দেখিনি। অবাধ নারীসঙ্গেও না। এই নিয়ে কেউ ভুরু কোঁচকালে স্পষ্ট বলত, দ্যাখো ব্রাদার, প্রকৃতি চারিদিকে হরেক রকমের ফুল ফুটিয়েছে। এখন তুমি যদি বলো ভ্রমরকে একটি ফুল থেকেই মধু খেতে হবে তা হলে সে বেচারা মুশকিলে পড়বে। অত বড়ো মৌচাক একফুলের মধুতে ভরবে কী করে! মুড ভালো থাকলে আমাকে নিয়ে শুরু হত ওর রসিকতা, এই যে কবি, তোর কাছে তো জীবন মানে দেবতা। আমার বাপু অত প্রেমভক্তি নেই। আমার কাছে জীবন কেমন জানিস? তা হলে শোন--
আজকে যা সুখ
কাল তা বিমুখ
শূন্যতা সম্বল
জীবন মানে
সবাই জানে
পদ্মপাতায় জল।
সেই রজত কোনওদিন বদলে যেতে পারে আমরা কেউ কোনওদিন ভাবতে পারিনি। কিন্তু বীথিকে বিয়ে করার পর রজত সত্যিই বদলে গেল। তখন ফুলও একটা ভ্রমরও একটা। এমনকী বিয়ের মাত্র চার বছর পর বীথি ক্যান্সারে মারা গেলেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেনি। এখনও একটাই ফুল,একটাই ভ্রমর। না, বীথির স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার মানুষ রজত নয়। শুনেছি যাত্রার কোন এক নায়িকার সঙ্গে ওর সম্পর্ক আছে। সে কে আমি জানি না। তবে এই সম্পর্কটির ব্যাখ্যা রজত একবার দিয়েছিল। নরনারীর সম্পর্ককে এইভাবে শুধু ও-ই বোঝাতে পারে। বলেছিল, ভরা জোয়ারে কখনও নৌকোয় চড়েছিস? অভ্যেস না থাকলে দাঁড়িয়ে যেতে পারবি না। মনে হবে এই বুঝি পড়ে গেলাম। সঙ্গে কেউ থাকলে সে তোকে ধরে দাঁড়াতে পারে আর তুই তাকে। আমাদের সম্পর্কটাও সেরকম। জোয়ারের পর যখন ভাটা আসবে তখন আর দরকার হবে না। তখন গোডাউনেও বীথি, শোকেসেও বীথি।
জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তোর বান্ধবী এসব কথা জানেন?
জানবে না? বলিস কী! সারাজীবন সুনামের সঙ্গে ডাকাতি করে শেষে ঠগ-জোচ্চোর হব নাকি?
জীবন রজতের কাছে দেবতা হয়ে উঠতে পেরেছে কি না আমি জানি না, তবে পদ্মপাতায় জল যে আর নেই সেটা হলপ করে বলতে পারি। বীথি বদলে দিয়েছে ওর দৃষ্টিভঙ্গী। ভালোবাসা আজও অনেক অঘটন ঘটাতে পারে। তিনি ঈশ্বর হোন বা নারী, রত্নাকর যদি তাকে ভালোবাসতে পারে, তা হলে তার বাল্মিকী হয়ে ওঠা অনিবার্য।
যাত্রিকের অফিসে কোনওদিন আসিনি। চিৎপুরের অলিগলির জট ছাড়িয়ে পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে গেল। সন্ধ্যে এখনও নামেনি। তবে শরতের আকাশ এই কলকাতা শহরেও তার শেষ বিকেলের ম্যাজিক শুরু করে দিয়েছে। অদ্ভুত সুন্দর একটা সোনালি আলো। আর ছায়া। দু'দিন আগে এমনই এক ছায়ার সাগরে আমি আর মোহর তলিয়ে গিয়েছিলাম। আজ তার কী মর্জি কে জানে!
তিনটি ঘর নিয়ে যাত্রিকের অফিস। বড়ো ঘরটিতে মহলা হয়। দরজা বন্ধ থাকলেও কথাবার্তার আওয়াজ শুনে বুঝলাম মহলা চলছে। বাকি দু'টি ঘর অপেক্ষাকৃত ছোট। একটিতে বুকিং অফিস আর অন্যটিতে রজত বসে। ম্যানেজারবাবুকে নিজের পরিচয় দেওয়া মাত্র বয়স্ক মানুষটি বললেন, যান না, ভেতরে যান। বাবু আপনার জন্যেই অপেক্ষা করছেন।
স্যুইং ডোর ঠেলে ভেতরে পা দিতেই একটা ঝাঁঝালো মিষ্টি গন্ধ নাকে এসে লাগল। বুঝলাম রজতের পানপর্ব শুরু হয়ে গেছে। প্রায় এক বছর পর দেখা। দেখলাম ওর চেহারা বিশেষ বদলায়নি। এখনও আগেকার মতোই সুপুরুষ। নতুন বলতে সোনালি ফ্রেমের চশমাটা। ওটা আগের বার দেখিনি। আমাকে দেখে রজত ওর স্বভাবসিদ্ধ রসিকতার সুরে বলল, আয়েন কত্তা। বয়েন। এই আপনার কথাই ভাবত্যাসিলাম।
আমি জানি রজতের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে পূর্ববঙ্গের সামান্যতম সম্পর্কও নেই। ওরা বর্ধমানের লোক। খাস ঘটি যাকে বলে। ওর আজকের ঢাকাইয়া বুলি স্রেফ মজা করার জন্য। বললাম, কী ভাবছিলি শুনি?
ভাবনা কি একখান কত্তা? কইতে কইতে রাত কাবার হইয়া যাইব। তা, বিয়া করস নাই তা তো জানি, প্র্যাম করছস নাকি?
সহসা মোহরের মুখটা মনে পড়ে গেল। কিন্তু আমি কি ওর সঙ্গে প্রেম করছি? কাউকে ভালোবাসতে শেখানোর মানে নিশ্চয়ই তার সঙ্গে প্রেম করা নয়। আমার ধরা আয়নায় মোহর সবে নিজেকে দেখতে শুরু করেছে। যখন নিজেকে চিনতে পারবে, ভালোবাসতে পারবে-- তখন হয়তো অন্য কেউ ওর জীবনে আসবে। কিংবা---জানি না। উদাসীন ভঙ্গীতে বললাম, ধুর, আমার প্রেম করার সময় কোথায়!
এবার রজত স্বমূর্তি ধরল, সে কী রে! আর কবে তুই মানুষ হবি বল তো? শুনেছি লেখকেরা এ বেলা-ও বেলা প্রেমে পড়ে কিন্তু তোর বারবেলা তো এখনও কাটল না।
আমার কথা ছাড়। তোর কথা বল।
আমার আর কী কথা! মাতাল-দাঁতাল মানুষ। ভেবেছিলাম তুই এলে একসঙ্গে সাগর মন্থন করব। পরে মনে পড়ল তোর তো আবার এসব চলে না। চা বলি?
চা এল। চা খেতে খেতে গল্প হল কিছুক্ষণ। পুরনো দিনের গল্প। বীথির কথা। জীবনের মঞ্চে রজতের দ্বৈত চরিত্র রূপায়ণের কথা। একজন শুধুই প্রেমিক। অন্যজন শুধুই পুরুষ। রজতের জীবনে মাঝখান বলে কিছু নেই। ও ঘরেও আছে ঘাটেও আছে। এভাবে বেঁচে থাকা বোধহয় ওর পক্ষেই সম্ভব।
আগেই বলা ছিল। তাই মহলা শেষ হবার পর শিল্পীরা একে একে সবাই দেখা করতে এলেন। ষোলো-সতেরো জন অভিনয় করছেন যাত্রিকের নতুন নাটকে। নায়ক শুভঙ্কর। বয়েস তিরিশ-বত্রিশের বেশি হবে না। সুদর্শন তো বটেই, কণ্ঠস্বরও বেশ ভালো। নানা বিষয়ে খোঁজখবরও রাখে। আমার এখানে আসার উদ্দেশ্য শুনে বলল, আমাদের নিয়ে বই-টই তো কেউ লেখে না। আপনি লিখছেন। আমি আপনাকে সব ধরনের সাহায্য করব। সদাশিব নন্দী চরিত্রাভিনয় করেন। তিনিও প্রতিশ্রুতি দিলেন। সাহায্যের আশ্বাস পেলাম ফ্লুটমাস্টার জীবন হালদারের কাছেও।
সবাই চলে যাবার পর এক অল্পবয়েসি মহিলা ঘরে এলেন। এক পলক দেখেই বুঝলাম একে ঠিক সাধারণ রূপসীদের শ্রেণীভুক্ত করা যাবে না। রূপের সঙ্গে লাবণ্য মিশে এমন এক মাদকতা সৃষ্টি করেছে যা সহজেই সাধারণ পুরুষকে লোভাতুর করে তোলে। কিন্তু আগুন বেশি হলে যা হয়, আলো ভারী কম।
রজত আলাপ করিয়ে দিল, এ হল ছবি। ছবিরানি দাস। আমাদের হিরোইন। ছবি অবশ্য ওর আসল নাম। স্টেজের নাম শিখা।
মনে মনে স্বীকার করলাম, শিখাই বটে। অগ্নিশিখা। কত পতঙ্গ যে এই শিখায় ঝাঁপ দিয়েছে তার বুঝি কোনও হিসেব নেই। হেসে বললাম, আমার নাম সন্দীপ চক্রবর্তী। রজত আমার বন্ধু।
জানি তো। লেখেন। যাত্রা নিয়ে উপন্যাস লিখবেন। রজতদার কাছে সব শুনেছি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথা বলে আপনি কীই বা পাবেন! আমাদের লাইফ কেমন তা তো জানতে পারবেন না। আমরা সামনের সপ্তাহে নদীয়া ট্যুরে যাচ্ছি। দশ দিন থাকব। চারটে শো করব। আমার প্রোপোজাল, আপনিও চলুন। কাছ থেকে দেখতে পারবেন আমাদের। কী রজতদা, ভুল বলেছি কিছু?
ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া। সন্দীপ তুই চল। একটা নতুন জগৎ দেখে আসবি। তা ছাড়া কলেজে থাকতে সেই ঝাড়গ্রাম ট্যুরের পর তুই-আমি একসঙ্গে তো কোথাও যাইনি। একটা দারুণ রিইউনিয়ানও হবে। থ্যাঙ্কস ছবি।
নদীয়ার কথায় নিতাই ঠাকুরের কথা মনে পড়ল। ওখানে গেলে একবার নবদ্বীপ ঘুরে আসব। অনেকদিন দেখা হয় না। আর মনে পড়ল মোহরের কথা। কথা দিইনি কিন্তু আমি জানি পুজোর সময় আমি মোহরের কাছেই যাব। এত আগুন আমার ভালো লাগে না। যেতে যেতে দাঁড়াতে হলে ছায়ায় দাঁড়ানোই ভালো। বিশেষ করে যে-ছায়া আলোর কাছে পৌঁছে দেয়।
হেসে বললাম, ঠিক আছে রজত। আমি রাজি।
(ক্রমশ)

মন্তব্যসমূহ