শিলিগুড়ি স্থল বন্দর ভাঙচুর নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল , বদল হচ্ছে নেতৃত্ব

 স্থলবন্দরে ভাঙচুরের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত ,শাসক দল ঘনিষ্ঠ   প্রসেনজিৎ রায় কে ছেঁটে আনা হচ্ছে ,সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অলোক চক্রবর্তীকে



 নিজস্ব সংবাদদাতা , শিলিগুড়ি , ৬ ফেব্রুয়ারিঃ শিলিগুড়িতে  'প্রসেনজিৎ রাজ' অবসান বলা চলে। স্থলবন্দরে ভাঙচুরের ঘটনার পর প্রসেনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সূত্রে খবর, এনজেপিতে আইএনটিটিইউসি এর হয়ে দায়িত্বভার সামলাবেন সদ্য তৃণমূলে ফেরা শ্রমিক নেতা অলোক চক্রবর্তী। রাজ্যস্তরের নেতাদের মধ্যে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। যদিও চূড়ান্তভাবে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যে বোঝা যাবে কাকে সেখানকার দায়িত্ব দিচ্ছে দল। এখনই এ নিয়ে কিছু বলতে চাইছেন না দলের নেতারা. শ্রমিক নিয়োগের দাবিতে স্থল বন্দর গুড়িয়ে দেওয়া, হামলা। কোনওভাবেই শাসক দল একাজ মেনে নেয়নি। যেকারণে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতোই প্রসেনজিৎকে গ্রেফতার করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। আজ বিকেলেই এনজেপি থানার পুলিশের একটি দল গজলডোবা হয়ে মালবাজারের দিকে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সেদিক দিয়ে অসমের দিকে পালিয়ে গিয়েছে প্রসেনজিৎ। যদিও মালবাজারের কাছে তার কয়েকজন সঙ্গীকে ধরে ফেলেছে পুলিশ। রাতেই তাদের শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হবে৷ আজ এনজেপি থেকেও ৩ জনকে ধরা হয়। 

প্রসেনজিৎ গ্রেফতার হওয়া সময়ের অপেক্ষামাত্র-এমনটাই বলছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। আজ দুপুর অবধিও এনজেপিতে ছিল প্রসেনজিৎ রায়। তারপরই গা ঢাকা দেয়। তার সন্ধানে এনজেপিতে তার বাড়ি, ইস্টার্ন বাইপাস, শান্তিনগর এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরই সে ডুয়ার্সের দিকে গিয়েছে শুনে পুলিশের তরফে সমস্ত থানাকে সতর্ক করে তাকে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অরূপ রতন ঘোষ বলেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। মন্ত্রী গৌতম দেব ফিরলেই দল আলোচনায় বসে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্যসমূহ