কে এল ও জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারানো ব্যাক্তির পরিবার লড়ছে বেঁচে থাকার লড়াই

 

কে এল ও জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারানো গোসাই শীল পরিবারের দিন কাটে প্রায় না খেয়ে 



সজল দাশগুপ্ত , শিলিগুড়ি , ৫ ফেব্রুয়ারিঃ   জীবন বড়ই অদ্ভুত । কে এল ও জঙ্গী সংগঠনে নাম লেখানো যুবকদের জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আনতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যারা কে এল ও জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে , এছাড়া জঙ্গী হামলা আহতদের ও সরকারের তরফ থেকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ধুপগুড়ি গোসাই শীল এর পরিবার একরকম প্রায় না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে । পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৩ জন , উপার্জন একমাত্র সুপারি কেটে ১০০ টাকা দিন প্রতি। এছাড়া আর কিছু সরকারি সাহায্য এর মাধ্যমে কোন রকমে তাদের দিন কাটছে। এই পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে অনেক চেষ্টা করার পরেও কোনরকম সাহায্যের মুখ দেখেনি তারা সরকারের তরফ থেকে। একদিকে যারা একসময় যখন কেএলও জঙ্গি সংগঠন করত তারাও চাকরি পাচ্ছে , কিন্তু তাদের ভাগ্যে কিছু মেলেনি। জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় ১০০জন হোম গার্ডের চাকরি হয়েছে। এরমধ্যে ধুপগুড়ি ময়নাগুড়ি তে সবথেকে বেশি। ১৯ বছর আগের ঘটনা ধুপগুড়ি তে সিপিএম কার্যালয় বিশেষ কাজে গিয়েছিলেন গোসাই শীল সেখানে কে এল জঙ্গিরা হামলা চালায় নিহত হন তিনি। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু তে নাম ছিল তার । তাই সিপিএম দলের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে কিছুটা সাহায্য করা হয়। তবে সেই সাহায্য দিয়ে বেশি দিন চলে নি তাদের। গোসাই শীল পেশায় ছিলেন মিষ্টির কারিগর। বর্তমানে এই পরিবারটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। পরিবার থেকে রয়েছেন নিহত গোসাই শীলের পঞ্চাশোর্ধ স্ত্রী, স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা, এছাড়াও আরেকজন ১৫বছরের কন্যা। কোন মতে দিন কাটছে তাদের সাহায্যের আশায় এখনো তাকিয়ে রয়েছে তারা ।

মন্তব্যসমূহ