উত্তরবঙ্গের বনেদি বাড়ি থেকে বারোয়ারি, চলছে দেবী দুর্গাকে বিদায় দেওয়া

 

উত্তরবঙ্গ জুড়ে চলছে মা দুর্গাকে বিদায় জানাবার পালা , চলছে সিদুরখেলা 



কুশল দাশগুপ্ত ,  ১৫ অক্টোবরঃ শিলিগুড়িতে বিজয়া দশমীর সিদুর খেলা  শুরু হয়ে গেছে আজ সকাল থেকেই।আজ শুক্রবার হওয়ার কারনে শিলিগুড়ির অধিকাংশ পূজো কমিটি স্থির করেছে আজকের দিনেই প্রতিমা নিরঞ্জনের কথা।পাশাপাশি করোনা আবহে     প্রায় সব পূজো কমিটিগুলি এবারে চাদা তোলেনি,তাই খরচের কথা মাথায় রেখেই কেউ আর দিন বাড়াতে চাইছে না।সেইমত লালমোহন মৌলিক ঘাটে আজ সকাল থেকেই আসছে প্রতিমা,যেটা অন্যান্য বারে  এত তাড়াতাড়ি দেখতে পাওয়া যেত না।এবারে সকাল থেকেই আসতে শুরু করে দিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য আসা ট্রাক।আর অধিকাংশ প্যান্ডেলেই শুরু হয়ে গেছে মাকে বরন করে সিদুর খেলা।প্রতিটি মন্ডব এখন পাড়ার মহিলাদের দখলে চলে গেছে।করোনার ভ্রুকুটি কে দুরে সরিয়ে রেখে মহিলারা পাল্লা দিয়ে আবির খেলছেন।তবে প্রতিটি মন্ডপে পূজোর উদ্যোক্তারা সবার জন্য সানেটাইজারের ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন সে ছোট হোক বা বড়,প্রতিটি পূজো মন্ডপে মাষ্ক না পড়ে ঢুকতে দেওয়া হয় নি।এবারে অনেকটাই ছিলো পূজো নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে পূজো পার করল মানুষ তাই আগামীবারে যাতে আমরা সেই আগের মত পূজো করি সেটাই মাকে জানালাম জানালেন শিলিগুড়ির একটি নামকরা পূজো কমিটির উদ্যোক্তা।তবে এবার শিলিগুড়ির পূজো কমিটিগুলির একটাই লক্ষ ছিলো যতটা পারা যায় সাবধানতা অবলম্বন করে পূজো পার করে দেওয়া।আজ বিজয়া দশমীর দিনে বাড়ির মহিলাদের সিদুর খেলতে দেখে আশা করা যায় তাদের উদ্দেশ্য অনেকটাই সফল হয়েছে।

মা দুর্গার ঘট বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে মা কে মিষ্টি মুখ করিয়ে শুরু হল সিঁদুর খেলা । জলপাইগুড়ি পাতকাটা কলোনি অগ্রণী সংঘ ক্লাব ও পাঠাগার এর পুজো মণ্ডপে এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গৃহিনীরা মাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের মিলে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন ।

রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে মালদাতে শুরু দশমীর সিঁদুর খেলা । বেলা বাড়তেই গৃহিণীরা মাকে সিঁদুর পরিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে তুলছেন । সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি হল মালদা বেলতলা ক্লাবের পুজো মন্ডপ থেকে ।



 নিয়ম মত ঠিক সকাল  ৮ টা বেজে ৫৫ মিনিটে বড় দেবীকে মন্দির থেকে বের করে নিরঞ্জনের জন্য কোচবিহার যমুনা দিঘীর ( লম্বা দিঘী ) উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছর করোনার কারণে ট্রাক্টর দিয়ে বড়দেবীকে নিরঞ্জন ঘাটে নিয়ে যাওয়া হলেও, এই বছর রীতি মেনে স্থানীয় যুবকেরাই রশি দিয়ে বড় দেবীকে টেনে যমুনা দীঘির পাড়ে নিয়ে যান।

প্রথা অনুযায়ী যমুনা দীঘির পাড়ে বিশেষ পূজার মধ্যে দিয়ে শুকর বলি দেওয়া হয়। তার পর বিশালাকার বড় দেবীর প্রতিমাকে খন্ড খন্ড করে নিরঞ্জন করা হয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা মধ্যে দিয়ে নিরঞ্জন হয় কোচবিহার রাজ আমলের বড়দেবী মূর্তির। প্রচুর মানুষ যমুনা দিঘী পাড়ে ভিড় জমান বড়দেবীর নিরঞ্জন দেখতে।

মন্তব্যসমূহ