সারা রাজ্য জুড়ে কালীপুজো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সচেষ্ট প্রশাসন
কুশল দাশগুপ্ত , ২৯ অক্টবরঃ আর হাতে গোনা কয়েকদিন। তারপরই মা কালীর আরাধনায় ব্রতী হবেন বিভিন্ন পূজা কমিটিগুলি।ইতিমধ্যেই করোনার গ্রাফ একটু হলেও উর্দ্ধমুখী সারা রাজ্যে। বিশেষ শহর কলকাতা সমেত লাগোয়া উত্তর২৪ পরগণা ও দক্ষিণ ২৪ পগণায়। প্রশাসনের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বিষয়টা। এখন সোনারপু-রাজপুর পৌরসভা এলাকায় চলছে করোনার কড়া বিধিনিষেধ। প্রকারন্তরে লক-ডাউন। হাওড়া ও উত্তর২৪ পরগণায় বেশ কিছু এলাকাকে মাইক্রো কন্টেন্টমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করাও হয়েছে। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে কড়া করোনা স্বাস্থ্য বিধি মানাবার জন্য প্রশাসনের তরফে লাগাতার চেষ্টা । এদিকে চিকিৎসক সহ বেশ কিছু মহলের দাবি , যে পুজোয় ছাড় ও লাগাম ছাড়া মানুষের ঠাকুর দেখার প্রবণতার কারণেই করোনার এই বাড় বাড়ন্ত ভাব। আসন্ন কালীপুজোয় সেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। যদিও আজ রাজ্য সরকারের তরফে সিনেমা হল সমেত লোক্যাল ট্রেন চালাবার বিষয়ে একটা ছাড়পত্র ঘোষণা হয়েছে। সেই কারণেও ঝুকির মাত্রা যে বাড়ছে , সেটা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। এদিকে দক্ষিণ কলকাতা , বারাসাত সমেত বেশ কিছু অঞ্চলে কালীপুজো বেশ প্রসিদ্ধ। এই অঞ্চলগুলিতে যাতে সুষ্ঠুভাবে কালীপূজোর বিষয়টিকে সমাধা করা যায় , সেদিকেও নজর রয়েছে পুলিশের।
করোনা আবহে, দুর্গা পূজার মতই যাতে কালী পূজাও সুষ্ঠু ভাবে সমাধা হয়, সেজন কালী পূজা কমিটিগুলির সাথে বৈঠক করলেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট-এর উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হোটেলে শহরের সমস্ত কালী পূজা কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, কালীপূজার আগে পর্যন্ত শহরে কড়া নজরদারি চালানোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি গ্রীন ক্র্যাকার ফাটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ রয়েছে, তাও কড়া নজরদারির মাধ্যমে লাগু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন