নানা শব্দের জালের নির্দেশিকায় আদৌ আতসবাজি পোড়ানো হবে তো দীপাবলীতে ?

 

কালীপূজোর রাতে আদৌ বাজি পুড়বে তো ? নাকি লুকানো শব্দ ব্রহ্মে কানের পর্দা ফেটে যাবে ? 



বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতা ও মালদা , ২৯ অক্টোবরঃ আগামী দীপাবলীতে আতসবাজি ফাটাবার ব্যাপারে ছাড়পত্র মিলেছে রাজ্যের  দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে। শর্ত রাখা হয়েছে , দু ঘন্টা পোড়ানো যাবে গ্রীণ আতসবাজি। আবার উচ্চ আদালত গতবারের নির্দেশিকা বজায় রেখেছে এবছরের আতস বাজি পোড়াবার ক্ষেত্রে। ফলে সাধারণ মানুষের মনে যেমন দ্বিধা দ্বন্দ্বের জন্ম দেখা দিয়েছে , তেমনি যারা আতসবাজির কারিগর বা প্রস্তুতকারক তাঁদের মনেও এসেছে একরাশ হতাশা। কেননা হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র গ্রীণ বাজি আছে বলে জানাচ্ছেন এরাজ্যের বাজির প্রস্তুতকারকরা , তারা এটাও জানাচ্ছেন  যে এগুলি এরাজ্যে তৈরি হয় না। এমন কি এরাজ্যে আবার শব্দ বাজি পোড়াবার ক্ষেত্রেও রয়েছে ডেসিবেল নামক একটি শব্দের ফাঁস। এক অর্থে শব্দ বাজিও ফাটানো বন্ধ। অথচ পশ্চিমবঙ্গের না সারা ভারতে বিখ্যাত শব্দ বাজির জন্যই। সে যাক, এখন কালীপুজোয় আদৌ বাজি পোড়ানো যাবে তো ? সেই নিয়ে চলছে বিস্তর বিতর্ক। এদিকে সারা রাজ্য জুড়ে চলছে নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অভিযান। আর সেই অভিযানে আটক হচ্ছে শব্দবাজি সমেত নানা নিষিদ্ধ বাজি।  

নিষিদ্ধ শব্দবাজীর বিরুদ্ধে অভিযান মালদার ইংরেজবাজার থানা এলাকায়। অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমানে শব্দবাজী উদ্ধার করল পুলিশ। অবৈধভাবে শব্দবাজী মজুত করার অপরাধে ৩ ব্যক্তিকে। জানাগেছে, গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মালদার ইংরেজবাজার থানার পুলিশ অভিযান চালায় সোদুল্লাপুর ও রথবাড়ি এলাকায়। অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই দুই জায়গা থেকে উদ্ধার করে ৭হাজার ৭৪০ টি নিষিদ্ধ শব্দবাজী। এই শব্দবাজী মজুত করার অপরাধে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সত্যজিৎ মন্ডল, প্রসেঞ্জিত মন্ডল ও বিজয় মন্ডল নামে ৩ যুবককে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৭০/২১ এবং ১৪৭৩/২১ সহ আরও বেশ কয়েকটি জামন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ