বৌবাজারে মেট্রো সুড়ঙ্গ খোলার সময়ে ফের ফাটল , ঘর ছাড়া বহু মানুষ

 

বৌবাজারে আবার মেট্রো সুরঙ্গের কাজ চলার সময়ে ফাটল ধরল বাড়িতে , আতঙ্কে ঘর ছাড়া বাসিন্দারা 



বিশেষ সংবাদদাতা , কলকাতা , ১৪ অক্টোবরঃ বৌবাজারে আবার মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোলার সময়ে বিপত্তি । আবা ফাটল বৌবাজার এলাকায় ।   এই বছরের মে মাসে দুর্গাপিতুরি লেন, মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ওই এলাকায় । আবার গভীর ফাটল দেখা দিল বউবাজারের একাধিক বাড়িতে।নতুন বাড়িতেও দেখা দিয়েছে ফাটল । পুজোর পর মেট্রো রেলের কাজ শুরু হতেই এই ঘটনা বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার ভোর রাতে পরপর একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা।  দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার ভোররাতের এই ঘটনায় আতঙ্ক, হুড়োহুড়ি। হাতের সামনে যা ছিল, তা নিয়েই ভোর থেকে রাস্তায় মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা। অনেক বাড়িতে ফাটলের পাশাপাশি জল ঢুকতেও দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষের অনুমান, দুটি টানেলের কাজ চলাকালীন সুড়ঙ্গ দিয়ে জল বেরোনোয় এই সমস্যা। এখনও পর্যন্ত কয়েকটি দোকান-সহ অন্তত দশটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ২০১৯-২০২২, তিন বছরের মধ্যে ফাটল আতঙ্ক বারবার ঘুরেফিরে এসেছে বউ বাজারের বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট  সংলগ্ন এই এলাকায়। আর রাজনৈতিক স্বার্থে মেট্রোর রুট বদলকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা।
এদিন বাসিন্দারা জানিয়েছেন , ভোরবেলাতেই তারা ফাটল দেখতে পান , আর তখনই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার । আপাতভাবে গৃহহীন মানুষগুলোকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ধারে হোটেলগুলোয় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ১৪২ টির মত পরিবার ঘর ছেড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে । 

ভোর থেকেই মানুসের পাশে দাঁড়িয়ে উদ্ধারের কাজ করেন স্থানীয় পুরপিতা বিশ্বরুপ দে। আসেন বিধায়িকা নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় । ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলি থেকে উদ্ধারের কাজে হাত লাগানোর জন্য এলাকায় হাজির বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এদিকে প্রবল বৃস্টির কারণে সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলেছে এলাকায় । প্রসঙ্গতঃ গত শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে এই এলাকায়। আর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার ফিরল ২০১৯ এর আতঙ্ক।
এলাকায় হাজির বাম্ফ্রন্টের মহঃ সেলিম , সাংসদ সুদিপ বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁদের মতে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের তত্বাবধানে কাজ করা উচিত ছিল।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন , জোড়াতাপ্পি মেরে কাজ না করে , বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কাজ করা উচিত ছিল। 

আপাততঃ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে বলে মেট্রো রেলের জনসংযোগ দফতর সুত্রে জানা গেছে। 

মন্তব্যসমূহ