বি ডি ও'র মানবিকতা

 

মানবিকতার মুখ হয়ে উঠলেন বি ডি ও 



নিজস্ব সংবাদদাতা ,  ময়নাগুড়ি,  ১৩ ই ফেব্রুয়ারি,  সোমবার,      হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বাড়িতে আনার জন্য নেই অর্থ। এবার এই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ময়নাগুড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী।

আজ ভোরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা উজ্জেশ্বরি রায়ের (৬০)। তার স্বামী মারা গিয়েছে পাঁচ বছর আগে। 

পরিবার সূত্রে জানা যায় গত বুধবার  শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অবশেষে সোমবার  ভোরে মৃত্যু হয় তার। গাড়ি ভাড়া দিয়ে মৃতদেহ বাড়িতে আনার মত অর্থ ছিল না। এরপরই উজ্জেশ্বরি রায়ের পরিবারের এই বিষয়টি জানতে পারেন ময়নাগুড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী। ঘটনা জানতে পেরে তড়িঘড়ি তিনি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন।

শুভ্র নন্দী বলেন, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রধান কর্তব্য। সমব্যথী প্রকল্পর টাকাটা যেন তিনি আজকের মধ্যেই পেয়ে যান সেটা আমরা দেখছি। এদিন খবর পেয়ে তড়িঘড়ি গাড়ি পাঠানো হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

মৃত বৃদ্ধার পরিবার জানিয়েছে, মৃতবৃদ্ধ্যার একটি ছেলে রয়েছে। যিনি অন্যের বাড়িতে হাজিরা মজুরির কাজ করেন। মৃতদেহ বাড়িতে আনার মত সামর্থ্য তাদের ছিল না। ময়নাগুড়ি বিডিওকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

মৃতবৃদ্ধ্যার ভাইপো অমিত কুমার রায় বলেন, সমব্যথির টাকাও আমরা পেয়ে গিয়েছি। বিডিও অফিস থেকে গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। সেই গাড়ি করে জেঠিমার দেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। বর্তমানে বার্নিশ মহা শাসনে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ