আদিবাসীদের রেল অবরোধে কার্যত রেল পথে বিচ্ছিন্ন উত্তরবঙ্গ

 

ধর্মীয় কারণ সহ বেশ দাবিতে আদিবাসীদের রেল অবরোধ , দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ 



 নিজস্ব সংবাদদাতা , মালদা , ১৩ ফেব্রুয়ারিঃ     পরপর দুদিন অবরোধে একেবারে বিপাকে উত্তরপূর্ব রেল।

ঝাড়খণ্ডের পরেশনাথ মন্দির আদিবাসীদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি ছাড়াও সারনা ধর্মের স্বীকৃতি চায় আদিবাসী সমাজ। এছাড়াও রয়েছে তাঁদের আরও বেশ কয়েকটি দাবি। নিজেদের দাবি আদায়ে শনিবার সকাল থেকে রেল অবরোধে আদিবাসীরা। 

গতকাল এবং আজকে আদিবাসীদের ডাকা বনধ্ এর কারনে একেবারে সমস্যায় পড়ে যান সাধারন মানুষ। ট্রেন লেট করায় প্রচণ্ডভাবে সমস্যায় পড়ে যান রোগীরা। অনেককেই মালদা ষ্টেশনে দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকবার পড়ে বিমর্ষ হয়ে থাকতে দেখা যায়। রেল অবরোধের কারনে সবচাইতে বেশী প্রভাব পড়ে বন্দেভারত এবং শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা থেকে চার ঘন্টা দেরীতে আসায় প্রচণ্ডভাবে সমস্যায় পড়ে যান তারা। অনেকেই টিকিট বাতিল করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাস এবং প্রাইভেট গাড়ি ভাড় করে চলে যান। অবরোধের কারনে দেরীতে এনজেপী ষ্টেশনে পৌছায় পদাতিক এক্সপ্রেসও। এনজেপীতে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের অনেকেই ফিরে যান বাড়িতে।সকাল থেকে যাত্রীদের হয়রানি বাড়তে থাকায় এনজেপী এবং মালদা ষ্টেশনে যাত্রীদের খাবার ব্যাবস্থা করে উত্তরপূর্ব রেল। কিশনগঞ্জ ষ্টেশনে রেললাইনের উপরে দাড়িয়ে বিক্ষোভ জানায় আদিবাসী সমাজ।কামতাপুর লিবারেশন ফ্রন্ট এই অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে বলেছে এই দাবী ন্যায্য। কারন সরকার তাদের কোন কথাই শুনছে না।এদিকে আদিবাসীদের এই আন্দোলনে সমস্ত রকমের সাহায্য করবেন বলে দাবী করেছেন জীবন সিংহ।তিনি জানিয়েছেন এই দাবী যতক্ষন না পযর্ন্ত মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষন চলবে।প্রয়োজনে আমি সামনে থেকে লড়াই করব। আদিবাসীদের এই অবরোধের কারনে বিপাকে পড়ে গেছে রেল কতৃপক্ষও।কারন দুরপাল্লার ট্রেনগুলির যাত্রীদের জন্য এখনো কোন ব্যাবস্থা করতে পারে নি তারা। তবে রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের সমস্ত রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।  যাত্রীদের সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছে রেল বোর্ড।

মন্তব্যসমূহ