মালদহে রেলের অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক

 মালদহে রেলের অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজনৈতিক  তরজা তুঙ্গে  



তনুজ জৈন; মালদা;২৬ফেব্রুয়ারী: সোমবার দুপুরে অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে পুরাতন মালদহের কোর্ট স্টেশনের ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।উপস্থিত ছিলেন মালদহ বিধানসভার বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা, কোর্ট স্টেশনের ম্যানেজার প্রদীপ কুমার রায় সহ কাটিহার ডিভিশনের  অন্যান্য আধিকারিকেরা।এদিন সকাল থেকে শিলান্যাস অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্টেশন চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।একাধিক খুদে শিল্পীরা অংশ নেয়।শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে।

অমৃত ভারত প্রকল্প নিয়ে এবার তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। রেলের অনুষ্ঠান মঞ্চে সংবর্ধনা বিজেপির মন্ডল সভাপতিদের। রেলের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলে কটাক্ষ বিরোধীদের। পরিযায়ী বলে কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ কে। পাল্টা তৃণমূল কে তোপ বিজেপির। লোকসভার প্রাক্কালে এবার রেল নিয়ে জেলায় চড়ছে রাজনীতির পারদ। মালদা জেলায় লোকসভায় রেলকে প্রচারের হাতিয়ার করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। যা কার্যত স্পষ্ট। মালদা থেকে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এবং অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই মালদা জেলার মালদা টাউন সহ অনেক গুলো স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সারা দেশের ৫৫৪টি স্টেশনের সঙ্গে বাংলায় ১৭টি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হল। এর মধ্যেই রয়েছে মালদা কোর্ট, হরিশ্চন্দ্রপুর, ভালুকা রোড এবং কুমেদপুর স্টেশন। ভার্চুয়ালি দেশের অন্যান্য স্টেশনের সঙ্গে এখানেও সেই কাজের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরে অমৃত ভারতের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হরিশ্চন্দ্রপুরে এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম বিজয় কুমার চৌধুরী, স্টেশন ম্যানেজার রাজ দেব রাম,উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু প্রমুখ। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এমনকি মঞ্চে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির মন্ডল সভাপতিদেরও।যা নিয়ে শুরু বিতর্ক। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি রেলকে রাজনৈতিক মঞ্চ করে দিচ্ছে। এলাকার জন-প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। কিন্তু ডাকা হয়েছে বিজেপির নেতাদের। সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সাথে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অভিযোগ এতদিন এলাকায় সাংসদকে দেখা যায়নি। এখন এসে রেলের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান করে দিচ্ছেন। যদিও পাল্টা সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি প্রত্যেক বিধায়ককে ডাকা হয়েছে।সাংসদ আরো বলেন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে এলে বিরোধীদের ডাকা হয় না। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। কিন্তু বিজেপি সবাইকে নিয়ে চলে।সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

মন্তব্যসমূহ