মালদায় একটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন বামেদের

 মালদায় একটি আসনে আসন সমঝোতা বামেদের , সমর্থন কংগ্রেস প্রার্থীকে , জানালেন বিমান বসু 



বিশেষ সংবাদদাতা , মালদা , ২৪ মার্চঃ  মালদার ২ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না বামেরা। কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবে বাম নেতৃত্ব। মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে কর্মীসভা শেষে বললেন বিমান বসু।মালদায় প্রার্থী আমাদের নেই কিন্তু প্রার্থী আছে। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপি নামক অশুভ শক্তি তার সঙ্গে টিএমসি নামক যে এক মিথ্যাচারী শক্তির মিলন এর বিরুদ্ধে যারাই লড়াই করতে চাই আমরা তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে চাই।কংগ্রেস যখন তাদের সঙ্গে লড়াই করতে চায় তাদের সাথে বোঝাপড়া হয়েছে,মানে এই মালদা উত্তর ও দক্ষিণে।দুইটি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে এ আই‌সি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।ফলে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে উত্তর দক্ষিণ কেন্দ্রে ঈশা খানই হোক আর মুস্তাক আলমই হোক তাদের পক্ষে জনগণের মধ্যে প্রচার করব। তৃণমূল হচ্ছে বিজেপির তোষণ।তৃণমূল বিজেপি দেশের মানুষকে নানান ভাবে বিরক্ত করতে চাইছে।যে ইলেকট্ররল ভোট রয়েছে সেই ইলেকট্ররল বন্ডে আমরা দেখতে পাচ্ছি তৃণমূল পার্টি একটি রিজোউনাল পার্টি হওয়া সত্বেও জাতীয় কংগ্রেস ন্যাশনাল পার্টি থেকে বেশি অর্থ পেয়েছে। এবং তার একটা ব্যাপক অর্থ পেয়েছে একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে পরিচালনা করা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সংস্থা। সম্ভবতঃ ৪৪৪ কোটি টাকা। এবং তাই তারা জনগণের ওপর অতিরিক্ত সার চার্জ বাড়াচ্ছে ,  ক্যারিং বাড়াচ্ছে। আর মানুষের  সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কথাগুলো বলতে চাই।আর তৃণমূল বিজেপি মানুষের বন্ধু না।মোদির গ্যারান্টির বিরুদ্ধে তৃণমূল যে গ্যারান্টি দিচ্ছে সব গ্যারান্টি হচ্ছে মানুষের মধ্যে চুপষে যাবে। দেশকে চরম পরিণতি দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ সেটাই হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের দর্শন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি। মালদায় দুটি আসনে বামপন্থীদের দায়িত্ব হবে জয় যুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।

        কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেন*এটা খুব খারাপ ভাবে নিয়েছি। মানে ন্যাশনাল ইলেকশন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হওয়ার পর সমস্ত কিছুই নির্বাচন কমিশনের হাতে আছে। যেই চার্জ নিয়ে গ্রেফতার করেছে সেদিন সেই চার্জে দুমাস আগে তিন মাস আগে গ্রেফতার করা যেতো।তাকে ১৩ বার ডাকা হয়েছে, ৬ বার ডাকার পরে তাকে গ্রেফতার করতে পারত। তখন তো কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হয়নি। ৬ বার কেন নয়বারের পর তাকে গ্রেফতার করতে পারত।করেনি অর্থাৎ মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট টাকে বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের হাতে আছে।সেটা তাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাচ্ছে। এই ধরনের শক্তি ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসাবে রূপান্তরিত হয়। ড্যাম কেয়ার।এই ড্যাম কেয়ার মনোভাব টা হিটলারী মনোভাব। এটা আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।

মন্তব্যসমূহ