সাইবার প্রতারণায় ছাত্রীর খোয়া গেল দুই লক্ষ টাকা

 সাইবার প্রতারনার শিকার কলেজ ছাত্রী , খোয়া গেল দুই লক্ষ টাকা 



বিশেষ সংবাদদাতা , মালদহ মানিকচক ,৬ মার্চঃ মানিকচকে সাইবার প্রতারণার শিকার এবার কলেজ ছাত্রী।সরকারি নার্সিং কোর্সে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে খোয়া গেল প্রায় দুই লক্ষ্য টাকা। পরিবারের অজান্তে টাকা দিয়ে দেওয়ায় ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছে সেই কলের ছাত্রী। সেই ছাত্রীর বাড়ি যেতে দেখা যায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে সে।পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে ইতিমধ্যে সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তারপরেও প্রতারকের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি।আরও টাকা না দিলে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবেবলে অভিযোগ।পুলিশি সহায়তার আবেদন কলেজ ছাত্রীর পরিবারের।

              মানিকচকের লালবাথানি এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষি বিপিন সরকার।পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে দুই মেয়ে এক ছেলে। সকলের বড় মানিকচক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বিউটি সরকার। জানাগেছে বিগত বছর জিএনএম ও এএনএম কোর্সে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দেয় বিউটি।তবে সেইসময় সে উত্তীর্ণ হতে পারে নি।সেই সময় তার এক বান্ধবী তাকে গোপাল ঘোষ নামে এক শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন,এবং জানান তার সাথে যোগাযোগ করলে সে নার্সিং কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। কিন্তু সে তাতে আগ্রহ দেখায়নি।তবে বিগত বছর ডিসেম্বর মাসে তার কাছে এক অজানা নম্বর থেকে ফল আসে এবং সে নিজেকে গোপাল ঘোষ নামে পরিচয় দেয়। সে বিউটিকে জানাই নার্সিং কোর্সে ভর্তি হতে গেলে তাকে প্রথমে ২৫০০ টাকা অনলাইনে প্রদান করে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। প্রথমে বিউটি রাজি না হলেও পরবর্তীতে সুযোগ পাওয়ার আশায় সেই টাকা প্রদান করে। তারপর থেকেই শুরু হয় সেই প্রতারণার চক্র। পরবর্তীতে অনলাইন ক্লাস এবং নোটস নেওয়ার জন্য তার কাছে আরও টাকা চাওয়া হয়। এদিন এবিষয়ে বিউটি মন্ডল কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তার কাছে থাকা স্কলারশিপের প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং বাবার দেওয়া প্রায় দেড় লক্ষ টাকা তিনি গোপনে পরিবারকে না জানিয়ে সেই প্রতারককে প্রদান করেছেন।তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়।এমনকি আরও টাকা না দিলে তাকে বিভিন্ন রকম অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে জানাই সেই প্রতারক।বিষয়টি কিছুদিন আগে সামনে এসেছে পরিবারের।তারপর তারা মালদহ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

           মা , সরস্বতী সরকার বলেন, তারা এবিষয়ে কিছুই জানতেন না। জমির ফসল বিক্রি করা সমস্ত টাকা মেয়ের কাছেই থাকতো।কিছুদিন আগে তার কাছে টাকা চাইলে জানায় তার কাছে টাকা নেই।তারপরই বাড়ির বৌমার কাছে বিষয়টি জানতে পারি।কিন্তু মেয়ে এই ধরনের চক্রে জড়াবে তা কোনদিন ভাবেনি।প্রায় এক লক্ষ ৮২ হাজার টাকা প্রতারণা হয়েছে তার মেয়ের সাথে। এমনকি এখনো আরও টাকা চাইছে সেই প্রতারক।মেয়ে সেই ভয়ে বর্তমানে মানসিক অবসাদে ভুগছে।

মন্তব্যসমূহ