মালদহে ভোটের তরজা তুঙ্গে
রাজনৈতিক সংবাদদাতা , মালদহ , ৬ মার্চঃ ভোটের দামামা বাজতেই রাজনৈতিক দলগুলির তরজা তুঙ্গে । মালদহ উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মূর্মুকে চোর বেইমান ভেলকিবাজ বলে আক্রমণ। মালদহের চাচোল এর খরবায় জন গর্জন সভার প্রস্তুতি সভা থেকে খগেন মুর্মুকে আক্রমণ মালতি পুরের বিধায়ক ও জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির। পাল্টা সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে খোঁচা দেন খগেন মুর্মুও ।
এদিন জন গর্জন প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখার সময় আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,খগেন মুর্মু সাহেব হিসেব করে আঙ্গুলে মেপে বলে দিতে হবে মানুষের কাছে।এই পাঁচ বছর এমপি থাকলেন , পাঁচ বছরের সময়কালে তিনি কি কি কাজ করেছেন।এই উত্তর উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি কতবার এসেছেন খরবাতে। কতবার এসছেন চাঁচোলে। কতবার গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কতবার বিধবা মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কতবার একজন বৃদ্ধ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায় মানুষের পাশে কতবার দাঁড়িয়েছেন।পরিযায়ী শ্রমিক যখন টাওয়ার থেকে পড়ে মারা যায় , সেই পরিবারের পাশে এসে কতদিন তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন।এই কথাগুলো গ্রামের মানুষের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিতে হবে।আমরা এই মঞ্চ থেকে বলে যাই বিজেপি বন্ধুদেরকে এটা পশ্চিমবঙ্গ। এই পশ্চিমবঙ্গে জাতপাতের রাজনীতি চলে না। সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি দিয়ে এখানে নির্বাচন করা যাবে না। তাই জেনে রাখো খগেন মুর্মু বাবু তোমার ছলচাতুরি জাতের নামে ভাগ করে দেওয়া,বেইমানির রাজনীতি, ভেলকিবাজি রাজনীতি, মালদহের মানুষ তোমাকে মেনে নেবে না। উত্তর মালদার মানুষ তোমাকে মেনে নেবে না। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে সর্বস্তরের মানুষকে যে এই নির্বাচনে যাতে আমরা বিজেপিকে লাখো ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করতে পারি এই শপথ খরবার স্কুল মাঠে এই প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে এই এলাকার মানুষকে গ্রহণ করতে হবে।একটা ভেলকিবাজ,একটা বেইমান,একটা চোর এখানকার সংসদ খগেন মুর্মুকে কোনমতেই জিততে দেওয়া যাবে না। এই শপথ নিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেক সদস্যকে।
পাল্টা উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ তথা উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, চোর ধাপ্পাবাজ তো তৃণমূল কংগ্রেস। যে দলে তার অবস্থান আছে তারাই তো চোর ধাপ্পাবাজ মানুষ তো জানে। তৃণমূল কংগ্রেস মানেই চোর। তৃণমূল কংগ্রেস মানেই ধাপ্পাবাজ। তৃণমূল কংগ্রেস মানেই লুট লুটেরা।তৃণমূল কংগ্রেস মানেই খুনি। এরা ধর্ষণ করে মায়েদের খুন করে এবং গরিব মানুষের জমি থেকে উচ্ছেদ করে আমরা দেখতে পাচ্ছি সন্দেশখালি, রাস্তায় নেমে এ কথাটাই বলছে। সন্দেশখালীর মেয়েরা বলছে কিভাবে তাদের ইজ্জত লুট করা হয়েছে।আমরা এটাকে কখনো সমর্থন করতে পারিনা। এটা বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রকল্পের সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এটাতো মানুষ বলছেন। সুতরাং ধাপ্পাবাজকে এটা মানুষ হচ্ছে সরাসরি রাস্তায় নেমে বলছেন। আগামী দিনে সেটাই প্রমাণ করবে যে ধাপ্পাবাজদের কোনরকম আশ্রয় নেই। তাদের কোনরকম এই পশ্চিমবাংলাতে তাদের কোন অধিকার নেই মানুষের কাছে ভোট চাইবে।তাই আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি পক্ষ থেকে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে পশ্চিমবাংলায় ৪২ টা আসনের মধ্যে ৪২ টা আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থীরা জয়ী হবেন। ৪২ টা আসন থেকেই পদ্মফুল ফুটবে।ভারতে আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি প্রধানমন্ত্রী হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন