তৃনমূলের হাতে আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা

 শিবিরের টাকা হাতানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 



বিশেষ সংবাদদাতা ,  মালদা;২০মার্চ: শিবিরে থাকার খরচের টাকা চাইতে গিয়ে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি কে মারধর করার অভিযোগ তৃনমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে।অভিযোগ উঠেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূলের প্রধান লাভলি খাতুন ও তার স্বামী রবিউল ইসলাম সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধানের স্বামী রবিউলের উল্টো দাবি, অঞ্চল সভাপতি ওসিউর রহমান ওরফে মুন্নার কাছে ধারের ১ লক্ষ টাকা পাচ্ছে। সেই টাকা চাইতে গিয়ে গন্ডগোল বাধে। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।ঘটনাটি ঘটেছে চন্ডিপুর বাজারে।আহত মুন্নাকে রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা  চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন।দু'পক্ষই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।২১ আসন বিশিষ্ট রশিদদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল পায় ৯ টি,বাম কংগ্রেস জোট ১১ টি ও নির্দল ১ টি আসন পায়।লাভলি খাতুন কংগ্রেস থেকে জয়ী হয়।বাম কংগ্রেস জোটের জয়ী প্রার্থীরা এলাকার বাইরে একমাস শিবির করে থাকে।প্রধান লাভলি খাতুন ও তার স্বামী রবিউল ইসলামও সেই শিবিরে ছিল।পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের কয়েকঘন্টা আগে লাভলি খাতুন ও তার স্বামী ব্ল্যাকমেল করে জোটের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।এরপর সে দল  বদল করে  তৃণমূলের প্রধান হয়ে যায়।শিবিরের থাকা,খাওয়া সহ মোট দুই লক্ষ টাকা খরচ দাবি করে জোট।এরপর পরিকল্পনামাফিক কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি কে মারধর করে তৃণমূল , বলে অভিযোগ।

আহত ওসিউর রহমান বলেন,' আমি একজন ঔষুধের ব্যবসায়ী।এদিন সন্ধ্যায় চন্ডিপুর বাজারে বকেয়া আদায় করতে যায়।এরপর হটাৎ করে প্রধান লাভলি খাতুন ও তার স্বামী সহ তার দলবলেরা আমাকে ঘিরে ধরে।মাটিতে ফেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধরক ভাবে মারধর করে।প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে গোলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে আমাকে মারার চেষ্টা করে।এরপর স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।আমার কালেকশনের ৬০ হাজার টাকা ও বাইক কেড়ে নেয়।পুলিশ বাইকটি উদ্ধার করে দিলেও টাকার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।

মন্তব্যসমূহ