তৃণমূল দলটির আর কিছুই নেই দাবী বিজেপি'র সুকান্তের

 মাফলারের পরে কে এবার?  -  প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসা  সুকান্ত মজুমদারের



নিজস্ব সংবাদদাতা ,বালুরঘাট , ২২ মার্চঃ   বালুরঘাটে নির্বাচনী প্রচারে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের। মাফলারের পর কে? আপনারাই বলুন জানালেন তিনি তিনি আরো জানালেন দুর্নীতির খাচায় ভর্তি তৃণমূল কংগ্রেস। একে খালি করা যাবে না কোনভাবেই, আপনারা দেখতেই পারছেন একেকজন মন্ত্রী একেক কেলেঙ্কারিতে জড়িত হয়ে আছেন। আর আমাদের সবার দিদি এখন নীরব। কাজের কোন নাম নেই এই তৃণমূল সরকারের সময়ে। সবাই এখন চাকরির দাবীতে রাস্তায়। আর তৃণমূলের নেতারা বাড়িতে টাকা দিয়ে আলমারি তৈরী করে রেখেন। তৃণমূলের ছোট নেতা হোক কিংবা বড় নেতা সবার বাড়িতে গেলে আপনি টাকা পাবেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সবকিছু জেনেও চুপচাপ হয়ে আছেন। গতকাল কেজরীওয়াল গ্রেপ্তার হয়েছেন এবারে কার পালা? আপনারাই বলে দিন।এখানেই থেমে থাকেন নি সুকান্ত মজুমদার, তিনি জানিয়েছেন তৃণমূলের সব নেতার বাড়িতে গেলেই আপনি টাকা পাবেন। আপনি দেখে অবাক হয়ে যেতেও পারেন। তবে এই দিন আর বেশী সময় ধরে থাকবে না, দুর্নীতির আখরায় থেকে তৃণমূল কংগ্রেস এখন  আর কিছুই দেখতে পারছে না, তাই এই অবস্থা। সামনেই ভোট এখন সবকিছু লুকিয়ে এগিয়ে যেতে চাওয়া তৃণমূল দলটির আর কিছুই নেই দাবী সুকান্ত মজুমদারের। তিনি আরো জানান আমাদের রাজ্যের এতকিছু থাকলেও কোন কাজ তৈরী হচ্ছে না। তাই আমাদের এই দশা। এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। আপনারাই বলুন আসল আপরাধী কে? মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের।



আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীসভা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। শুক্রবার গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলডাঙ্গা এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও হাজীর ছিলেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, সহ-সভাপতি প্রদীপ সরকার সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই কর্মীসভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন সুকান্ত। সেই সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রেলের উন্নয়ন সহ কেন্দ্রের নানান উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলি তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার।

মন্তব্যসমূহ